বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক টিকা গ্রহণ সম্পর্কিত যাবতীয় আচারবিধি জানুন। জন্স হপকিন্স সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস এর 'কোভিড আচরণবিধি ড্যাশবোর্ড' কোভিড-১৯ সম্পর্কিত উপাত্ত, দৃষ্টিভঙ্গি এবং রীতিনীতির উপর বৈশ্বিক পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে তথ্য উপস্থাপন করছে । জন্স হপকিন্স সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার 'গ্লোবাল আউটব্রেক এলার্ট এন্ড রেস্পন্স নেটওয়ার্ক' এর যৌথ উদ্যোগে 'কোভিড আচরণবিধি ড্যাশবোর্ড' এর সকল বিষয়বস্তু নিয়মিত বিশ্লেষিত এবং হালনাগাদ হচ্ছে।
আমাদের নিঃশ্বাসের সাথে বেরিয়ে আসা সংক্রামক কণার মুহূর্তেই বাতাসে ছড়িয়ে পড়াকে হ্রাস করে মাস্ক, যা আমাদের শ্বাসকষ্ট হওয়ার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে। একজন সংক্রমিত ব্যক্তির মধ্যে সংক্রমণের কোন লক্ষণ না থাকা সত্ত্বেও তার কথা বলা, গান গাওয়া, কাশি কিংবা হাঁচির মাধ্যমে এই কণাগুলি বাতাসে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মাস্ক পরিহিত ব্যক্তি এবং তার আশেপাশের মানুষের মাঝে মাস্ক একটি সুরক্ষা দেয়াল তৈরি করে যা এই কণাগুলোকে অন্যের শরীরে প্রবেশ করতে বাঁধা দিয়ে সুরক্ষা প্রদানে সহায়তা করে। তবে এইজন্য সঠিকভাবে মাস্ক পরা অবশ্য করণীয়।
একজন সংক্রমিত ব্যক্তি যখন কাশি কিংবা হাঁচি দেয় অথবা কথা বলে, মূলত তার নিঃশ্বাসের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর সংক্রামক কণাগুলো বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে যা সহজেই অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে। যেহেতু মাস্ক-পরিহিত ব্যক্তি এবং মাস্ক-হীন ব্যক্তির মধ্যে মাস্ক একটি সুরক্ষা দেয়াল হিসেবে কাজ করে, সেহেতু এটি অসংক্রমিতদের নিরাপদ রাখতে কার্যকারী ভুমিকা পালন করে ।
তবে, কেউ যদি শুধুমাত্র মুখ ঢেকে রাখার জন্য মাস্ক ব্যবহার করে এবং নাক না ঢাকে তাহলে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হবার ঝুঁকির অনেকাংশই রয়ে যায়, যেহেতু নাক দিয়েই আমরা শ্বাস গ্রহণ ও শ্বাস ত্যাগ করি। সুতরাং নাক ঠিকমতো না ঢেকে রাখলে মাস্ক পরার পুরো উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে যায়।
শরীরে অ্যান্টিবডি থাকা কোভিড-১৯ থেকে দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা নিশ্চিত করে না কারণ সেগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার একটি উপাদান মাত্র। সারস-কোভ-২ এর মতো ভাইরাসে আক্রান্ত একজন ব্যক্তির শরীরে পুনরায় এটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। অনেকই তথাকথিত "লং কোভিড"-এ আক্রান্ত হতে পারে, যেখানে তারা ভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদী পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করে। অনেকদিন যাবত শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতির জন্য ক্লান্তি, মানসিক অবসাদ, মুড সুইং এবং শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
যদিও নিয়মিত হাত ধোয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, শুধুমাত্র একটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যথেষ্ট নয়। জীবাণুর বিস্তার রোধ করার জন্য সবগুলো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা একযোগে কাজ করে। প্রতিবার কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য হাত ধোয়া, ভ্রমণের সময় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল জেল সাথে রাখা, মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা-সুরক্ষিত থাকার জন্য সবগুলো ধাপই মেনে চলা জরুরি।
কোভিড-১৯ টিকা হল একটি জৈবিক উপকরণ যা আমাদের নভেল করোনাভাইরাস সারস-কোভ-২ দ্বারা সৃষ্ট কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এই টিকা শরীরে ভাইরাস চিহ্নিত করতে এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে, সেই সাথে গুরুতর অসুস্থতা এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
কোভিড-১৯ টিকা শরীরে একটি নিরাপদ ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটিয়ে (যেমন প্রোটিন বা জেনেটিক উপাদান) কোভিড প্রতিরোধের কাজ করে। এটি শরীরে অ্যান্টিবডি ও মেমোরি কোষ তৈরি করে যেন একজন টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তি পরবর্তীতে পুণরায় একই ভাইরাসের সম্মুখীন হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এটিকে আরও দ্রুত চিহ্নিত করতে এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
হ্যাঁ, কোভিড-১৯ টিকাগুলো জীবাণু সংক্রমণ, গুরুতর অসুস্থতা এবং হাসপাতালে ভর্তির হার কমাতেঅত্যন্ত কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। টিকাভেদেকার্যকারিতার হার ভিন্ন, কিন্তু সমস্ত অনুমোদিত টিকাই কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি কমাতে উল্লেখযোগ্য কার্যকারিতা প্রদর্শন করেছে।
যদিও কোভিড-১৯ টিকাগুলি অত্যন্ত কার্যকর, তবুও পুনরায় সংক্রমণ ঘটতে পারে, যদিও তা খুবই দুর্বল সংক্রমণ। টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও গুরুতর অসুস্থতা, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং কোভিড-১৯ থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের জন্য অনুমোদনের মানদণ্ড দেশ এবং অঞ্চলভেদে একেক রকম হয়। প্রাথমিকভাবে, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে টিকাগ্রহণের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল, যেমন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, বয়োঃজ্যেষ্ঠ এবং অসুস্থ ব্যক্তিবর্গ। টিকার প্রাপ্যতা বৃদ্ধির সাথে সাথে, বয়সসীমা বৃদ্ধি এবং সাধারণ জনগণকেও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ।
এছাড়াও টিকা গ্রহণের পূর্বে বিশেষ কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করে নিতে হবে।
একজন সংক্রমিত ব্যক্তি যখন কাশি কিংবা হাঁচি দেয় অথবা কথা বলে, মূলত তার নিঃশ্বাসের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর সংক্রামক কণাগুলো বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে যা সহজেই অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে। যেহেতু মাস্ক-পরিহিত ব্যক্তি এবং মাস্ক-হীন ব্যক্তির মধ্যে মাস্ক একটি সুরক্ষা দেয়াল হিসেবে কাজ করে, সেহেতু এটি অসংক্রমিতদের নিরাপদ রাখতে কার্যকারী ভুমিকা পালন করে ।
তবে, কেউ যদি শুধুমাত্র মুখ ঢেকে রাখার জন্য মাস্ক ব্যবহার করে এবং নাক না ঢাকে তাহলে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হবার ঝুঁকির অনেকাংশই রয়ে যায়, যেহেতু নাক দিয়েই আমরা শ্বাস গ্রহণ ও শ্বাস ত্যাগ করি। সুতরাং নাক ঠিকমতো না ঢেকে রাখলে মাস্ক পরার পুরো উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়ে যায়।
ভাইরাস থেকে সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত থাকার জন্য শুধুমাত্র মাস্কই যথেষ্ট নয়। মাস্ক পরা ছাড়াও, অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ যেমন: জনাকীর্ণ স্থান এড়ানো, দুর্বল বায়ু চলাচল হয় এমন স্থান এড়ানো এবং বদ্ধ স্থানগুলোতে বায়ু চলাচল উন্নত করা, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা, হাত পরিষ্কার রাখা, নিশ্বাস-প্রশ্বাসের সাধারণ নিয়ম মানা, হাঁচি, কাশির সময় কনুই বা টিস্যু দিয়ে মুখ এবং নাক আবৃত রাখা, ইত্যাদি অতীব জরুরি। এর সাথে, টিকা নেওয়া এবং সময়মত বুস্টার ডোজ গ্রহণ করাও অপরিহার্য।
যদিও নিয়মিত হাত ধোয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, শুধুমাত্র একটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য যথেষ্ট নয়। জীবাণুর বিস্তার রোধ করার জন্য সবগুলো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা একযোগে কাজ করে। প্রতিবার কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য হাত ধোয়া, ভ্রমণের সময় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল জেল সাথে রাখা, মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা-সুরক্ষিত থাকার জন্য সবগুলো ধাপই মেনে চলা জরুরি।
কোভিড-১৯ এর দ্রুত বিস্তার রোধ করার জন্য, সমগ্র বিশ্বের আর্থিক সহযোগিতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে প্রসিদ্ধ বিজ্ঞানী, গবেষক এবং ডাক্তারেরা টিকাগুলো তৈরি করেছেন। এছাড়াও, সমস্ত অনুমোদিত টিকা যথাযথ পরীক্ষামূলক পদ্ধতি (ক্লিনিকাল ট্রায়ালের) অতিক্রম করে এবং বড় কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি ছাড়াই অনুমোদন পেয়েছে। তাই কোভিড.১৯ প্রতিরোধক টিকা অবশ্যই যথেষ্ট নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য।
কোভিড-১৯ টিকা হল একটি জৈবিক উপকরণ যা আমাদের নভেল করোনাভাইরাস সারস-কোভ-২ দ্বারা সৃষ্ট কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এই টিকা শরীরে ভাইরাস চিহ্নিত করতে এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে, সেই সাথে গুরুতর অসুস্থতা এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
কোভিড-১৯ টিকা শরীরে একটি নিরাপদ ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটিয়ে (যেমন প্রোটিন বা জেনেটিক উপাদান) কোভিড প্রতিরোধের কাজ করে। এটি শরীরে অ্যান্টিবডি ও মেমোরি কোষ তৈরি করে যেন একজন টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তি পরবর্তীতে পুণরায় একই ভাইরাসের সম্মুখীন হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এটিকে আরও দ্রুত চিহ্নিত করতে এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
হ্যাঁ, কোভিড-১৯ টিকাগুলো জীবাণু সংক্রমণ, গুরুতর অসুস্থতা এবং হাসপাতালে ভর্তির হার কমাতেঅত্যন্ত কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। টিকাভেদেকার্যকারিতার হার ভিন্ন, কিন্তু সমস্ত অনুমোদিত টিকাই কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি কমাতে উল্লেখযোগ্য কার্যকারিতা প্রদর্শন করেছে।
Protection measures for everyone
কোভিড-১৯ টিকার চূড়ান্ত ডোজ নেয়ার পর থেকে সাধারণত কয়েক সপ্তাহ লাগে তার সর্বোচ্চ কার্যকারিতা পেতে। টিকা কার্যকর হওয়ার সময়কাল ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে, তবে বেশিরভাগ ব্যক্তি নিবন্ধিত টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করার দুই সপ্তাহের মধ্যে লক্ষণীয়সুরক্ষা লাভ করে।
যদিও কোভিড-১৯ টিকাগুলি অত্যন্ত কার্যকর, তবুও পুনরায় সংক্রমণ ঘটতে পারে, যদিও তা খুবই দুর্বল সংক্রমণ। টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও গুরুতর অসুস্থতা, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং কোভিড-১৯ থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
যারা টিকা নেয়নি তাদের তুলনায় টিকা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের দ্বারা অন্যদের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা কম। তবে, টিকা দেওয়ার পরেও ভাইরাস ছড়ানো সম্ভব, বিশেষ করে যদি কেউ অত্যধিক কার্যকর ভাইরাসের সংস্পর্শে আসে। তাই, মাস্ক পরিধান এবং সামাজিক দূরত্ব সম্পর্কিত স্থানীয় স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
কোভিড-১৯ টিকার বেশিরভাগ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই মৃদু এবং অস্থায়ী, যেমন ইনজেকশন নেয়া স্থানে ব্যথা, ক্লান্তি, মাথাব্যথা বা হালকা জ্বর। গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুবই বিরল।
বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অস্ট্রাজেনেকা টিকা (কোভিশিল্ড), সিনোভাক, ফাইজার-বায়োটেক এবং মডার্না সহ জরুরি প্রয়োগের জন্য বেশ কয়েকটি কোভিড-১৯ টিকা অনুমোদন পেয়েছে। নির্দিষ্ট টিকার প্রাপ্যতা সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে।
বাংলাদেশ সরকার’ Surokkha অ্যাপের মাধ্যমে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার জন্য একটি অনলাইন নিবন্ধন পোর্টাল তৈরি করেছে। টিকার জন্য মনোনীত ব্যক্তিরা ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারেন এবং তাদের টিকা দেওয়ার সময়সূচী নির্ধারণ করতে পারেন।
তিনটি উপায়ে টিকা দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করা যাবে-
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ টিকার জন্য মনোনীতদের তালিকা সময়ের সাথে সাথে দীর্ঘায়িত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, সরাসরি গ্রাহক সেবা প্রদানকারী কর্মী এবং ষাটোর্ধ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও, টিকার পরীক্ষামূলক পদ্ধতি (ক্লিনিকাল ট্রায়াল) না হওয়া পর্যন্ত ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য টিকাগ্রহণ সীমাবদ্ধ ছিল। টিকার লভ্যতা বৃদ্ধির সাথে সাথে টিকা গ্রহণের জন্য বয়সসীমা বৃদ্ধি এবং সাধারণ জনগণকেও টিকার আওতাভুক্ত করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে, ৫ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ কোভিড-১৯ টিকা নিতে পারবেন। এছাড়াও টিকার আওতাভুক্তির সর্বশেষ তালিকা পেতে কোভিড-১৯ এর সরকারি তথ্যসূত্র ব্যবহার করতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
হ্যাঁ, কোভিড-১৯ টিকা বাংলাদেশ সরকার বিনামূল্যে প্রদান করে থাকেন। সরকার সাধারণ জনগণের শতভাগ টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন চুক্তি এবং উদ্যোগের মাধ্যমে টিকা সংগ্রহ করেছে।
একটি টিকাকেন্দ্রে কোন নির্দিষ্ট টিকার প্রাপ্যতা এবং সরবরাহ যথেষ্ট পরিমাণে থাকলে টিকা পছন্দমত নেয়া যেতে পারে।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) ওয়েবসাইট সহ কিছু সরকারি সূত্র, মনোনীত কোভিড-১৯ টিকা কেন্দ্রের তথ্য সরবরাহ করে থাকে। এই উৎসগুলি টিকা কেন্দ্রের অবস্থান, টিকা প্রদানের সময়সূচী এবং নিবন্ধন পদ্ধতির সর্বশেষ তথ্যও প্রদান করে থাকে। এরকম কিছু ওয়েবসাইট হল:
http://dashboard.dghs.gov.bd/webportal/pages/covid19-vaccination-update.php
টিকার সর্বশেষ তথ্যের জন্য: https://surokkha.gov.bd/
এই উদ্যোগটি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)-এর সহযোগিতায় নির্মিত। এই উদ্যোগটির সকল তথ্য/বিষয়াদির দায়ভার ব্রেকথ্রু অ্যাকশন প্রকল্পের। এখানে প্রকাশিত মতামতের সাথে ইউএসএআইডি বা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।